রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১১:১০ পূর্বাহ্ন

এরদোয়ানের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা পুতিনের

এরদোয়ানের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা পুতিনের

অনলাইন বিজ্ঞাপন

তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান এবং রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ছবি : সংগৃহীত

পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর দ্বিতীয় বৃহত্তম সদস্য দেশ তুরস্ক। অথচ ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযানের পর থেকেই পুতিনকে সমর্থন দিয়ে আসছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। শুধু তাই নয়, আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে মস্কোকে যত সুবিধা পাইয়ে দেওয়া সম্ভব, তার সবটুকুর জোগান দিতে চেষ্টা করছে আঙ্কারা। অন্যদিকে জেলেনস্কির কাছেও ভরসার প্রতীক হয়ে আছে এই তুরস্কই। এমন পরিস্থিতিতে এরদোয়ানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশে বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি পুতিন।

সম্প্রতি মস্কোতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা জানান, তুরস্ক ও এর প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের প্রতি রাশিয়া আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞতা জানায়। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের একটি শান্তিপূর্ণ সামধান খোঁজার উদ্যোগ গ্রহণের জন্য এ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়। তুর্কি সংবাদমাধ্যম ডেইলি সাবাহর এক প্রতিবেদনে এমনটা জানা যায়।

জাখারোভা জানান, যখন গোটা পশ্চিমা বিশ্ব বিরতিহীনভাবে আগ্রাসী বিবৃতি দিয়ে যাচ্ছে এবং সংঘাতকে আরও উসকে দিচ্ছে তখন শান্তির প্রতি বার্তা জানানোটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। যারাই শান্তির পক্ষে, আলোচনার পক্ষে ও এই সংকট সমাধানের পক্ষে কথা বলে এবং যারা মধ্যস্থতার মাধ্যমে সংকট সমাধানের জন্য এগিয়ে আসে তাদের সকলের কাছে রাশিয়া কৃতজ্ঞ। এ কৃতজ্ঞতা তুর্কি উদ্যোগ ও প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের প্রতিও প্রযোজ্য।

রুশ এ মুখপাত্র জানান, অনেক দেশই বুঝতে পেরেছে যে পশ্চিমা দেশগুলোর সম্মিলিত শক্তি পৃথিবীকে কোন দিকে ঠেলে দিতে চাইছে। ফলে তারা শান্তি প্রক্রিয়ার জন্য আগ্রহী হয়ে উঠেছে। রাশিয়া প্রত্যেকের কাছে কৃতজ্ঞ যারা সংকট সমাধানের প্রস্তাব দিচ্ছে অথবা উদ্যোগ নিচ্ছে, এমনকি তা সম্পূর্ণ বাস্তবসম্মত না হলেও। এটা শান্তির দিকে এগিয়ে যাওয়ার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেয়। বিশেষ করে যখন গোটা পশ্চিমা শক্তি সংঘাতকে আরও উসকে দিতে অস্ত্র সরবরাহ জারি রাখে এবং সন্ত্রাসী কার্যক্রমকে অর্থায়ন করে যায়।

চলতি মাসের শুরুর দিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে ইস্তাম্বুলে আয়োজিত এক বৈঠকে এরদোয়ান জানান, মস্কো ও কিয়েভের অংশগ্রহণে একটি শান্তি সম্মেলন আয়োজনের জন্য তুরস্ক সবসময় প্রস্তুত রয়েছে। আঙ্কারা বারবার কিয়েভ ও মস্কোকে আলোচনার মাধ্যমে চলমান যুদ্ধ শেষ করার আহ্বান জানিয়েছে। এর মধ্যে আঙ্কারার প্রচেষ্টায় ২০২২ সালের জুলাই মাসে কৃষ্ণ সাগর শস্যচুক্তি এবং রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধবন্দি বিনিময়ও হয়েছে।

সূত্র-কালবেলা।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
Desing & Developed BY MONTAKIM